মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রদত্ত অফুরন্ত নিয়ামতের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যৌবনের শক্তিমত্তা। অফুরন্ত প্রাণশক্তির আধার যুবসমাজই দেশ ও জাতির ভবিষ্যত কর্ণধার। শত ঝড়-ঝাপটা উপেক্ষা করে তারাই পারে সত্য প্রতিষ্ঠায় সামনে এগিয়ে যেতে। ইসলামে যৌবনকালের গুরুত্ব সীমাহীন। এ সময়ের ইবাদত আল্লাহ তাআলার কাছে খুবই প্রিয়।
এ সম্পর্কে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা. ইরশাদ করেছেন, ‘সাত শ্রেণির মানুষকে আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তাঁর (আরশের) ছায়ায় আশ্রয় দেবেন। দ্বিতীয় শ্রেণির মানুষ সে যুবক-যুবতি, যে তার রবের ইবাদতের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছে।’ বুখারি শরিফ অর্থ্যাৎ যুবক-যুবতিদের আমল আল্লাহ তা’য়ালার কাছে অধিক প্রিয়। আসুন আমরা সবাই আল্লাহ তা’য়ালার ইবাদত করি। অপরদিকে মসজিদ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম স্থান।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা. এ সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন, ‘জনপদসমূহের মধ্যে মসজিদ আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় এবং বাজার তাঁর কাছে সর্বাধিক অপছন্দনীয়।’ মুসলিম শরীফ মহান আল্লাহ তাআলা মসজিদকে জান্নাতের টুকরা বানিয়েছেন। রাসূল সা. বলেছেন, ‘মসজিদসমূহ আসমানবাসীদের জন্য আলোকস্তম্ভ, যেমন নক্ষত্রসমূহ পৃথিবীবাসীদের জন্য আলোকমালা।’ এ কারণেই পৃথিবীর যে কোন মসজিদ মুসলমানদের কাছে এক বিশেষ মর্যাদা সংরক্ষণ করে। সেখানে গেলে তাদের মনের মধ্যে এক আলাদা ভাবের উদয় হয়। পাপমুক্ত হওয়ার বাসনা জাগে, পবিত্র জীবন যাপনে উৎসাহ বোধ করে এবং দীন পালনে উজ্জীবিত হয়।
তাই বলা যায়, যুবসমাজের নৈতিক চরিত্র গঠনের ক্ষেত্রে মসজিদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। মসজিদে যাওয়ার প্রতিদান সম্পর্কে রাসূলে কারিম সা. বলেছেন, ‘কোন ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যায় (নামাজ আদায় করার জন্য) যতবার মসজিদে যাতায়াত করবে, আল্লাহ তায়ালা ততবারই তার জন্য জান্নাতে মেহমানদারীর সামগ্রী তৈরি করে রাখবেন।’ বুখারি শরিফ